শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

৩ দিনের ব্যবধানে আরেক বাংলাদেশিকে গুলি করে মারলো বিএসএফ



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১ জানুয়ারি, ২০২৩ ৫:১১ : অপরাহ্ণ

লালমনিরহাটে সীমান্তে তিন দিনের ব্যবধানে আরেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

আজ রোববার ভোরে রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গতকাল শনিবার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিপ্লব মিয়া বিপুল পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের গাটিয়ারভিটা গ্রামে রশিদুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাদিক (২২) ও মংলু (৩৬) নামে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হন।

এ ঘটনার তিন দিনের ব্যবধানে বিএসএফের গুলিতে আবারও বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হলেন।

পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবককে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দুপুরে লালমনিরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী সাত থেকে আট জনের একটি দল বুড়িমারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের সীমান্তের প্রধান পিলারের ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যায়। এ সময় ভারতের ৯৮-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা দুই-তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় বিপ্লবের সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান মোকছেদ বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার সময় কয়েকজন গরু পারাপারকারীর সঙ্গে রশিদুলের ছেলে বিপুলও যান। সীমান্তে ভারতের বিএসএফ গুলি করলে বিপুলের ডান পাঁজরে গুলি বিদ্ধ হয়। আমি লাশ দেখেছি। পুলিশ লাশ নিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, ‘চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফ জানিয়েছে, গোলাগুলির ঘটনা হয়নি। আমরা বিষয়টি হালকাভাবে নেবো না। কঠোর প্রতিবাদলিপি দেওয়া হবে। বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, এ জন্য সীমান্তে বিজিবির টহল দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হয়।’

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথ বিবৃতিতে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও সীমান্তে একের পর এক বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনা ঘটছে।

আরও পড়ুন: বিএসএফকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা ভারতের জন্য লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে গত ১০ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনা বাংলাদেশেরর জন্য দুঃখজনক আর ভারতের জন্য লজ্জাজনক।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর