রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ৬:২৯ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অনভিপ্রেত বিবৃতিতে বিব্রত বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি, মানবাধিকার এবং নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের পরামর্শেও বিরক্ত সরকার।
বাংলাদেশকে পরিপক্ব রাষ্ট্র উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা চাই না রাশিয়া, আমেরিকা কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাক, এটা তাদের বিষয় নয়। আমরা চাই প্রত্যেক দেশ যে নিয়ম আছে, জেনেভা কনভেনশন আছে সে অনুযায়ী কাজ করবে, আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না। আমরা পরিপক্ব, স্বাধীন, স্বার্বভৌম দেশ এটা সবার মনে রাখা উচিত। আমার এই বক্তব্য রাশিয়া, আমেরিকার সবার জন্য প্রযোজ্য।’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
আওয়ামী লীগ সরকারের রক্তে গণতন্ত্র-মানবাধিকার জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদাবোধ সমুন্নত রেখেছে। এসব নিয়ে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। আমি নিশ্চিত নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দূতাবাসের ‘টুইট যুদ্ধ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে গণতন্ত্র যখন ভূলুণ্ঠিত হলো তখন আমরা যুদ্ধে যাই, দেশ স্বাধীন করি। আমাদের মানবাধিকার নিয়ে কারও মাতব্বরি করার কোনো সুযোগ নেই।’
ইচ্ছা-আন্তরিকতা-সাহস থাকলে সব সম্ভব উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মেট্রোরেল তারই উদাহরণ। মেট্রোরেল করা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা-আন্তরিকতার কারণে। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে নিজেদের পয়সায় পদ্মা সেতু হয়েছে। নদীর তলদেশে টানেল হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সব উন্নত দেশে মেট্রোরেল আছে। এই প্রথম বাংলাদেশে হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়।’
মেট্রোরেল নির্মাণ যাতে না হয় সেজন্যও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে অভিযোগ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সঠিক সময়ে মেট্রোরেলের কাজ শেষ করতে জাপান করোনাকালেও নিরলস কাজ করে গেছে। তারা কাজে গাফিলতি করেনি। জাপানকে ধন্যবাদ জানাই।’