ক্যাচ মিস করে জয় হাতচাড়া করলো বাংলাদেশ। বলা যায় তীরে এসে তরী ডুবার মতো ঘটনা।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল টাইগাররা। তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে নামা ভারতের চার উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
টেস্ট জয়ের জন্য চতুর্থ দিন ভারতের দরকার ছিল ১০০ রান। বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬ উইকেট। চতুর্থ দিন সকালে ভারতের আরও তিন ব্যাটার সাজঘরে ফিরেন।
কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার জুটির বাধা টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। টাইগারদের মুখের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয় এ দুই ব্যাটার।
দুজনের ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মিরপুরে ৩ উইকেটে জিতে স্বাগতিকদের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো ভারত। এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টেও জয় পায় সফরকারীরা।
গতকাল শনিবার টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ২৩১ রানে থামে বাংলাদেশ। ভারতের দেওয়া ৮৭ রানের লিড টপকে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ১৪৪ রানে। সুতরাং জয়ের জন্য ভারতের দরকার পড়ে ১৪৫ রান।
বাংলাদেশের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ রান নিতে কালই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। তাই চতুর্থ দিনে আজ জয়ের জন্য আর ১০০ রান লাগতো ভারতের। যা তুলে নিয়ে জয় উৎযাপন করেন কোহলিরা।
আজ রোববার ঢাকা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের প্রথম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কা মেরে দেন উনাদকাট। প্রথম ওভার থেকে আসে ১০ রান। পরের ওভারেই আঘাত হানেন সাকিব। তার ভেতরে ঢোকা বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান উনাদকাট।
এরপর মাঠে নেমেই পান্ত বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছিলেন। ভয় ধরাচ্ছিলেন আগ্রাসী অ্যাপ্রোচে। তবে তাকে বেশি দূর বাড়তে দেননি মেহেদী মিরাজ। মিরাজের ভেতরে ঢোকা দারুণ বলে কাবু হয়ে এলিবডব্লিউতে শিকার ভারতের তারকা ব্যাটার।
আগের দিন থেকে সবচেয়ে সাবলীল খেলছিলেন আকসার। এদিন নেমেও তার ব্যাটে ভরসা পাচ্ছিল ভারত। কিন্তু তিনিও এদিন ব্যর্থ। মিরাজের টার্ন করে ভেতরে ঢোকা বলে পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন। লাইন মিস করে তার পায়ে লাগে স্টাম্প ভেঙে যায়।
দলীয় ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। টেস্ট ক্যারিয়ারে মিরাজ পুরো করেন নবম পঞ্চম উইকেট। তার স্পিন যেভাবে ফণা তুলছিল, তাতে এই ম্যাচে স্পষ্ট দাপট ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রথম ঘণ্টায় ৩ উইকেট শিকারের সেই চাপ জারি থাকেনি পরে। অশ্বিন-শ্রেয়াস মিলে ভারতকে পাইয়ে দেন কষ্টার্জিত জয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন মুমিনুল হক। বাকিদের ব্যর্থতায় বেশিদূর এগোতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল।
এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে শুক্রবার তৃতীয় সেশনে এসে ৩১৪ রানে থামে। লিড পায় ৮৭ রানের।