রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ৪:৫৩ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন চতুর্থবারের মতো নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
তবে রাজনৈতিক নেতা ও সম্মানিত ব্যক্তি হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষকে তাদের সুচিকিৎসার নির্দেশের দেন আদালত।
আজকের শুনানির সময় ফখরুল ও আব্বাসের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মামলার এফআইআরে তাদের মক্কেলদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তবে একই মামলার এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও বিএনপির অপর দুই নেতা-আমানুল্লাহ আমান ও আবদুল কাদের ভূঁইয়াকে ঢাকার অপর এক আদালতে হাজির করার পর জামিন মঞ্জুর হয়। তাই তাদের সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা উচিত বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছে, তাদের নির্দেশে নেতাকর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করা উচিত।
উভয়পক্ষের শুনানির পর বিচারক আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানুয়ারিতে জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৯, ১২ ও ১৫ ডিসেম্বর তিন দফায় ফখরুল-আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ৯ ডিসেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর পরদিন পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন অনেকে।
এ ঘটনায় পরদিন পল্টন থানার একটি মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।