শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

প্রগতিশীল-প্রতিক্রিয়াশীল সব একাকার, তাদের লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে উৎখাত: কাদের


ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ৪:৫৪ : অপরাহ্ণ

বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, শেখ হাসিনা সেটা মেরামত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নাকি রাষ্ট্র সংস্কার করবে…আজকে বাংলাদেশে অ্যালায়েন্স (জোট) হয়েছে। সেই জোটে প্রগতিশীলও আছে, প্রতিক্রিয়াশীলও আছে। সব এক কাতারে একাকার। তাদের লক্ষ্য কী? শেখ হাসিনাকে উৎখাত।’

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ‘এই রাষ্ট্রকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, তারা রাষ্ট্র মেরামত করবে? মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। করেছেন বলেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। ধ্বংস করেছেন আপনারা। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ধ্বংস করেছেন। দুর্নীতি আর লুটপাট করে কোষাগার ধ্বংস করেছেন। শেখ হাসিনা মেরামত করেছেন।’

বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুনেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের কাউন্টার ভিশন-২০৩০, বিএনপির। সেটা কোথায়? এখন তারা কর্মসূচি দিয়ে দেখাচ্ছে তারা আছে। তাদের নেতাকর্মীরা বহুদিন ক্ষমতায় নেই, তাতেই খাই খাই ভাব। তাদের একটু খুশি রাখতে হবে। সেই জন্য অনেক কথা বলছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণজাগরণের যে ঢেউ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, গোটা দেশ জেগে গেছে। সারাদেশের যেখানেই গেছি, স্রোতের মতো মানুষ। চট্টগ্রাম, যশোর, কক্সবাজারের মহাসমাবেশের সমাবেশ দেখে মনে হয়েছে সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ যেন আছড়ে পড়েছে। বিজয়ের মাসে আমাদের সম্মেলন। কাজেই সম্মেলনেও স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি হবে। সম্মেলন সাদামাটা হবে, উপস্থিতি সাদামাটা হচ্ছে না। এটা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

আরও পড়ুন: আ.লীগের সম্মেলন: পুলিশ-গোয়েন্দাদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চান হাসানাত আবদুল্লাহ্

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাজসজ্জা-আলোকসজ্জা সাদামাটা হচ্ছে নেত্রীর নির্দেশে আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে। দেশের মানুষ অভাবী মানুষ। এসব সাজসজ্জা-আলোকসজ্জা তাদের অবস্থার সঙ্গে ক্ল্যাশ করবে। এখানে প্রমাণ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। মানুষের চিন্তাভাবনা সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পথ চলতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলার বিষয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে একটা মিটিংয়ে এড্রেস করতে করতে সময় শেষ। কোন নেতা অখুশি হবে একটু কম বললে, এটাও মাথায় থাকে বা পরবর্তীতে পদায়নে প্রব্লেম হতে পারে। এসব চিন্তা করেও অনেকে বলেন। এগুলো আমাদের গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সভার সব সদস্যদের এড্রেস করতে করতে সময় শেষ হয়ে যায়। আমাকে আপনি ওবায়দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখবেন, এভাবে বললেই হয়। আর এড্রেস করা একটা-দুটো শব্দে যতটা সংক্ষেপে করা যায়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সভায় কাউকে ২ মিনিট সময় দেওয়া হলে ৫ মিনিটই সম্বোধন করতে করতে সময় শেষ করে দেন। পরে মাগরিবের নামাজের আজান দিচ্ছে, তখন প্রধান অতিথি বক্তৃতা করার সুযোগ পান। মানুষকে শ্রোতাদের শুনতে দিতে হবে। তো সে সময়টুকু না দিলে তো এটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমাদের অনেক কিছু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শিখতে হবে।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর