সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

দেশে গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়, প্রশ্ন শেখ হাসিনার


গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:১৮ : অপরাহ্ণ

একটি মহল লোভ আর ব্যক্তিস্বার্থে দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ধ্বংস করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘এখানে (দেশে) গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এ কথা বলেন, তাদের ভালো লাগে যখন জরুরি অবস্থার সরকার হয়! সামরিক শাসক এলে তাদের একটু কদর বাড়ে! এজন্যই তারা খোশামোদি-তোষামোদি করেন। ওইটুকু পাওয়ার লোভে, ব্যক্তিস্বার্থের জন্য তারা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চান।’

আজ শনিবার সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে আয়োজিত এই বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সারাদেশ থেকে দলের জাতীয় কমিটির সদস্যরা যোগ দেন।

‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে’ তৎপর দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কিছু মানুষ আছেন, যারা নিজেরে বুদ্ধিজীবী ও জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দেন। তাদের মুখেও শুনি-দেশে নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে! মনে হয় যেন দূরবীন দিয়ে ওনারা গণতন্ত্র দেখছেন। তাদের আমি জিজ্ঞেস করবো, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছর ও আওয়ামী লীগের আমল ছাড়া কবে গণতন্ত্র ছিল? ক্ষমতা তো ছিল সেননিবাসে বন্দি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবই তো সেনানিবাসে বন্দি। সেনানিবাস থেকে চালানো হতো দেশ। মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময় যারা মার্শাল ল দিয়ে দেশ চালিয়েছিল, সেটাকেই কী তারা গণতন্ত্র বলতে চান? ওটাই কি তাদের গণতান্ত্রিক ধারা ছিল?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আওয়ামী লীগই দেশে গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছে এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল এতো ভালোভাবে মানুষের অধিকার রক্ষা করেছে? যেসব দল সেনাশাসকের পকেট থেকে গঠিত হয়েছে। যেমন বিএনপি বা জাতীয় পার্টি। আপনারা দেখবেন, সেখানে গণতন্ত্রের চর্চাটা কোথায়? দুর্ভাগ্যের বিষয়, তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে। তারা আবার আমাদের গণতন্ত্রের ছবক দেয়, পরামর্শ দেয়, গণতন্ত্র নাকি আবার প্রতিষ্ঠিত করবে।’

২০০৮ সালের নির্বাচনে ফলাফল কী-সেই প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এটা সবার মনে রাখা উচিত সে সময়ে বিএনপি পেয়েছিল ৩০টা সিট। আর আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি পায়। ওই নির্বাচন নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন করতে পারে না। তাহলে পরবর্তী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোন মুখে প্রশ্ন তুলে?’

এক এগারোর সরকার আন্তর্জাতিক চাপ ও দেশের মানুষের আন্দোলনের কারণে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সবসময় একই প্যারালালে নিয়ে আসা হতো। কিন্তু আওয়ামী লীগের শক্তি যে দেশের জনগণ, এটা অনেকে ধারণাই করতে পারেনি।’

দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্যই জাতীয় কমিটিরও সদস্য। দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার প্রতিটি থেকে একজন করে প্রতিনিধি এই কমিটির সদস্য। এর বাইরে দলীয় সভাপতি ২১ জন সদস্যকে মনোনীত করেন। সবমিলিয়ে জাতীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৮০ জন। বছরে কমপক্ষে একবার করে জাতীয় কমিটির বৈঠক করার কথা বলা হয়েছে দলীয় গঠনতন্ত্রে। তবে দলীয় সভাপতি চাইলে একাধিকও করতে পারেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর