সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়: শেখ হাসিনা


বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ৬:১১ : অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। মানবাধিকার নিশ্চিত করে। শুধু বেঁচে থাকাই তো সুরক্ষা না। খাদ্যশস্য উৎপাদন করছি। মানুষকে বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। করোনায় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি।’

আজ বুধবার রাজধানীল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা জাতির জনকের খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি? আমার মানবাধিকার নিয়ে তো প্রশ্ন করতে পারি। জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ী কারা মারা গেছে, সেটা নিয়ে ব্যস্ত তারা।’

গুম-খুন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির অনেকে গুম ‍খুন নিয়ে কথা বলে। আরে এদেশে গুম-খুনের কালচার তো শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ফাঁসি দেওয়ার সংস্কৃতিও তার। একদিনে দশজনকে ফাঁসি দিয়েছে। হাজার হাজার মা-বোন ও ভাইয়ের কান্না শোনা যায়। কত মানুষকে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছে! এক বিমান বাহিনীর ৫৬২ জন, সেনা ২ হাজার অফিসার ও সৈনিক। সে পরিবারগুলো আজও তাদের আপনজনের জন্য কেঁদে ফেরে। কই, মরদেহের খবরটাও তো পায়নি। এরপর কোন মুখে বিএনপি গুম-খুন নিয়ে কথা বলে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে ডাক্তার-সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছিল। নিজামী থেকে শুরু করে অনেকের বিচার করেছি, বিচারের রায় কার্যকর করেছি। এদেরকেই খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসিয়েছিল, এদেরকে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছিল, মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানিয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরশাদ এসে আরও একধাপ উপরে গিয়ে জাতির পিতার খুনিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বানিয়ে দিলো। সেই খুনি ফারুককে। ডালিম ও রশীদ এখনও পাকিস্তানে পলাতক। রাশেদ এখন যুক্তরাষ্ট্রে। বারবার আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করেছি, খুনিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেন। তারা ফেরত দেয় না। খুনির মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা। অর্থাৎ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকে রক্ষা করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেজর নূর যে সরাসরি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়েছিল, সেই নূর এখন কানাডায়। কানাডা সরকারকে আমরা বারবার অনুরোধ করি, তাকে ফেরত দেয় না। বারবার তাদের ফেরত চাইলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।’

আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর