রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:৩১ অপরাহ্ণ
দীর্ঘ সাত বছর পরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই আসলো এ বিজয়। তিন ম্যাচ ওয়ানডেতে একটি হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো লিটন-সাকিবরা।
এর আগে ২০১৫ সালে দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ভারতকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করলো লাল সবুজের দল।
সিরিজের শেষ বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ভারতকে হোয়াটওয়াশ করার।
আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মিরাজের সেঞ্চুরিতে ২৭১ রান করে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভারে ২৬৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোর দলের ব্যাটিং লাইন আপ। দুই ওপেনার এনামুল হক (১১) ও লিটন দাস (৭) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।
তিনে নামা নাজমুল শান্ত ২১ রানে আউট হন। রান পাননি সাকিবও (৮)।
ওয়াশিংটন সুন্দরের ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে ফেরেন মুশফিকুর (৮) ও আফিফ (০)।
১৯ ওভারের মধ্যে ৬৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেছিলেন মেহেদি-মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ইনিংসের প্রাণ ফেরান মেহেদি মিরাজ। তারা সপ্তম উইকেটে ১৪৮ রান তোলেন। ওই জুটিতে মাহমুদুল্লাহর অবদান ৯৮ বলে ৭৭ রান। সাতটি চারের শট খেলে ফেরেন তিনি।
মাহমুদুল্লাহ পরে উইকেটে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন নাসুম আহমেদ। সঙ্গ দিয়েছিলেন মিরাজও।
নাসুম আহমেদকে নিয়ে আরও ৫৪ রান যোগ করেন মিরাজ। তিনি খেলেন ৮৩ বলে ১০০ রানের হার না মানা ইনিংস। আটটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কার হাঁকান। নাসুম ১১ বলে ১৮ রান করেন।
৫০তম ওভারের শেষ বলে মিরাজ করলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটিও আবার ভারতের বিপক্ষে। ৮৩ বলে অপরাজিত ১০০ রান করেছিলেন মিরাজ। শত রানের ইনিংসে ছিল আট বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কার মার।
আর মেহেদি-নাসুম মিলে করেছিলেন মাত্র ২৩ বলে ৫৪ রানের জুটি। তাতে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ২৭১ রানের সংগ্রহ পায়।
২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ভারতকে বল হাতে চাপে ফেলেন মিরাজ-এবাদতরা।
৬৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল লোকেশ রাহুলরা। পরে দলের বিপদের মুহূর্তে হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেল।
দুজনের ১০৭ রানের জুটিতে ভারত শক্ত অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। ভারতের বড় এই জুটি ভাঙেন মিরাজ।
ভারতের ১৭২ রানে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শ্রেয়াস। তিনি ১০২ বলে ৮২ রান করেছিলেন, যা সাজানো ছয় বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায়।
৩৮.২ ওভারে এবাদতের বলে অক্ষর প্যাটেল আউট হলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। অক্ষর ৫৬ বলে ৫৬ রান করে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন।
৫৬ রানের ইনিংসে ছিল দুটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কার মার।
পরে উইকেটে শার্দুল ঠাকুর ও দীপক চাহার ধীরে রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন। সে যাত্রাও থামান মুশফিক।
৪২.৪ ওভারে ভারতীয় ২০৭ রানে সাকিবের বলে শার্দুল ঠাকুরকে (৭) স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিকুর রহিম।
৪৬তম ওভারে এবাদত বল করতে এসে প্রথমেই দীপক চাহারকে (১১) আউট করেন। তবে পরের পাঁচ বল থেকে ১৮ রান দেন। যার মধ্যে রোহিত মারেন দুটি ছক্কা ও একটি চার।
শেষ দিকে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা হতে দেয়নি।