শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা খেলা

মেসিময় ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ৩:৩১ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

একদিকে মাইলফলক, অন্যদিকে খরা। হাজারতম ম্যাচ খেলতে নামার আগে সেই খরার আগুনে পুড়ছিলেন লিওনেল মেসি। যা জ্বলছিল ম্যাচের ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। পাঁচ বিশ্বকাপের সব আসরে নক-আউট খেললেও, কোথাও পাননি গোলের দেখা।

পরের মিনিটেই সে আগুন নেভালেন মেসি নিজেই। অবশেষে পেলেন কাঙ্খিত সেই গোলের দেখা। শূন্যতা পূরণের সঙ্গে যে গোল স্মরণীয় করে তুলেছে আর্জেন্টাইন তারকার হাজারতম ম্যাচ। তাতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।

আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে আর্জেন্টিনা। মেসি ছাড়াও এই ম্যাচে গোল করেছেন মাকড়সা মানব খ্যাত জুলিয়ান আলভারেজ।

তাতে নেদারল্যান্ডসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে তারা নাম লিখিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

খেলার শুরু থেকেই বল ছিল আর্জেন্টিনার দখলে। ছোট ছোট পাসে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিলেন মেসিরা। অন্যদিকে রক্ষণভাগ শক্তিশালি রেখে পাল্টা আক্রমণের ‍সুযোগ খুঁজছিল অস্ট্রেলিয়া। চোটের কারণে ডি মারিয়া না থাকায় প্রান্ত ধরে আক্রমণ কম হয়েছে আর্জেন্টিনার।

মেসিকে মাঝে রেখে অস্ট্রেলিয়ার বক্সে ঢোকার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তবে এই কৌশলে শুরুতে সফলতা আসেনি। খেলার সময় যখন ৩৫ মিনিটে গড়ায়, তখনিই অস্ট্রেলিয়ার জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা।

কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে আর্জেন্টাইন ফুটবলার অ্যাকুনাকে ফাউল করায় ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেই কিক থেকে সরাসরি গোল না হলেও ফিরতি বল পান মেসি। ডি পলের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি।

পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে এসে নক-আউটের ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেলেন তিনি। পাশাপাশি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে এটি ছিল মেসির হাজারতম ম্যাচ। সেই ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখার উপলক্ষ্যও হয়ে ওঠে এই গোল।

মেসির এই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর মাঠে চার মিনিটের বেশি স্থায়ী হতে পারেননি পাপু গোমেজ। চোটের কারণে তাকে তুলে নেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। রক্ষণভাগকে আরও শক্তিশালি করতে তার বদলে ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে নামান।

আর ৭ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোলের আনন্দে ভাসেন আর্জেন্টাইনরা। গোলটা করেন মাকড়সা মানব খ্যাত জুলিয়ান আলভারেজ। গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ানের দোষে গোল হজম করে অস্ট্রেলিয়া। বক্সের মধ্যে দীর্ঘসময় পায়ে বল রাখার খেসারত দেন তিনি। তার পা থেকে বল ছিনিয়ে নেন আলভারেস। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ভুল করেননি তিনি।

দুই গোল হজমের পর খেলায় ফেরার চেষ্টা চালায় অসিরা। তবুও পেরে উঠছিল না। বলের দখল মেসিদের পা থেকে সরছিলই না। আর্জেন্টিনা তখন তৃতীয় গোল দিয়ে খেলার ফল নিশ্চত করার লক্ষ্যে ছিল। অবশেষে ৭৭ মিনিটে আরও একবার গোল হলো ঠিকই, তবে সেটা আকাশী-নীলদের নয়।

অস্ট্রেলিয়া শোধ করে এক গোল। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট মারেন গুডউইন। বক্সের মধ্যে এনজো মার্তিনেসের মাথায় লেগে বলের দিক বদলে যায়। কিছু করার ছিল না গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেসের। আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয় লিসান্দ্রোর নামে।

তারপরই পালটে যায় খেলার ধরন। শেষ ১০ মিনিটে উত্তাপ ছড়ায় ম্যাচে। অসাধারণ ফুটবল খেলল অজিরা। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু গোল করতে পারলেন না কুয়োলো। আর্জেন্টিনাও পেয়েছিল একাধিক সুযোগ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। তাতে ২-১ গোলের জয় নিয়েই নিশ্চিত হয় কোয়ার্টার ফাইনাল।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর