রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ নভেম্বর, ২০২২ ৯:১১ : পূর্বাহ্ণ
কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ। সমাবেশকে ঘিরে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি।
আজ শনিবার টাউন হলে দুপুর দুইটায় সমাবেশের মূল অনুষ্ঠানের সময়সূচি নির্ধারণ করা থাকলেও সকাল ১১টার দিকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার থেকেই আশেপাশের জেলা থেকে কুমিল্লায় নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। সমাবেশস্থল টাউনহল মাঠে অবস্থান নিয়ে সেখানেই রাত কাটান তারা।
তবে অন্যান্য সমাবেশের থেকে এটি অনেকটাই ব্যতিক্রম। এবার ডাকা হয়নি কোনো পরিবহন ধর্মঘট, দেওয়া হয়নি কোনো বাধা।
ফলে এ সমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ ও উচ্ছ্বাস। এরই মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ।
মিছিল-স্লোগান ও মাইকিংয়ে মুখর নগরী। গত বৃহস্পতিবার বিচ্ছিন্নভাবে নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করলেও শুক্রবার সকাল থেকেই স্রোত নামে। এ মাঠেই দুপুরে পৃথক দুটি জামাতে দলীয় নেতাকর্মীরা জুমার নামাজ আদায় করেন। অনেকেই খাবার খেয়েছেন সমাবেশস্থলে।
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও কুমিল্লার সবক’টি উপজেলা থেকেই নেতাকর্মী সমাবেশস্থল ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে সমবেত হন।
দলীয় নেতাকর্মীরা বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ বেশকিছু দাবিতে সিরিজ সমাবেশ করছে বিএনপি।
আজকের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা (কুমিল্লা দক্ষিণ, কুমিল্লা উত্তর ও মহানগর শাখা), চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পাঁচটি শাখা বিএনপির উদ্যোগে এ বিভাগীয় সমাবেশ হচ্ছে। এটি বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় গণসমাবেশ।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, যেহেতু এ সমাবেশে অনেক লোকের সমাগম ঘটবে, তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সব বিষয়ে পর্যাপ্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। চলাচলের সুবিধার্থে নগরীর বাইরে থেকে আসা সব ধরনের যানবাহন নগরীতে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এ সমাবেশে থাকছেন সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ফলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের বহিস্কার প্রত্যাহারের জোর গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড থেকে এমন সবুজ সংকেত আসেনি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে ওই দুই মেয়র প্রার্থী জানান, তারা আজকের সমাবেশস্থলে থাকবেন।