রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ নভেম্বর, ২০২২ ৩:০৯ : অপরাহ্ণ
গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার বাসা থেকে পাশের মক্তবে আরবি পড়তে যায় ৬ বছর বয়সী আয়াত। এর পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি।
এক যুবক আয়াতকে অপহরণ করে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ ছয় টুকরা করে সাগরে ফেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আবির আলী (১৯) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।
আবির তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। সে আয়াতের দাদাবাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং আকমল আলী রোডে মায়ের সঙ্গে থাকে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী রোড থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে। খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে মরদেহ টুকরা করার কাজে ব্যবহার করা বঁটি ও অ্যান্টিকাটার উদ্ধার করা হয়েছে। ’
সন্তানকে না পেয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবা সোহেল রানা ও মা তামান্না খাতুন। তারা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, থানা-পুলিশ ও হাসপাতাল ঘুরছেন। এলাকায় মাইকিং ও পোস্টার লাগানো হয়েছে। আয়াতের সন্ধান দিলে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছিল পরিবার।
ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি নিখোঁজ হয়।