রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ নভেম্বর, ২০২২ ১০:০৭ : অপরাহ্ণ
এক-দু বছর নয়! এই দিনটির জন্য দীর্ঘ ৪ বছর অপেক্ষায় থাকেন ফুটবল ভক্তরা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হলো আরও একবার। মরুর বুকে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পর্দা উঠল ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের।
আজ রোববার নাচ-গান আর নানান দেশের তারকাদের মন মাতানো পারফরম্যান্সে মাতল কাতারের খোর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়াম। তারকারদের পারফর্মের কিছুক্ষণ পরই বেজে উঠে বিশ্বকাপের বাঁশি।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কাতারের মুখোমুখি হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। দুই দেশের লড়াই দিয়ে শুরু হলো গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত-ফুটবল বিশ্বকাপের নতুন আসর। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপ মঞ্চস্থ করার ইতিহাসে পা রাখলো কাতার।
মরুর বুকে ফুটবল বিশ্বকাপ-ব্যাপারটা অনেকটা ঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি উন্নত দেশগুলো। আয়োজকের দায়িত্ব কাতার পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানা সমালোচনা। তবে সব সমালোচনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নতুন ইতিহাসে পা রাখলো কাতার।
সাধারণত ইউরোপ-আমেরিকাতে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হয় জুন-জুলাইয়ে। কাতার সেই পথে হাঁটেনি। মরুর বুকে প্রচণ্ড গরমের জন্য তারা সিদ্ধান্ত নেয় নভেম্বর-ডিসেম্বরে আয়োজন করার। যেই কথা সেই কাজ। নিজেদের পরিকল্পনা মতোই আজ থেকে বিশ্বকাপ শুরু করলো স্বাগতিক দেশ।
আজ থেকে শুরু হয়ে দেশটির লুসাইলে অবস্থিত ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার লুসাইল স্টেডিয়ামটিতে হবে এবারের আসরের সবচেয়ে বড় ম্যাচ।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। কাতারের পাঁচ শহরের আটটি স্টেডিয়াম জুড়ে চলবে বিশ্বকাপের আয়োজন। যাতে অংশ নেবে ৩২ দল, খেলবে ৬৪টি ম্যাচ।
মূল লড়াই শুরুর আগে যেমন হলো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার পর ৬০ হাজার দর্শকের সামনে শুরু হয় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অল্প সময়ের অনুষ্ঠানে ড্রামের আওয়াজ, গান আর নৃত্যের ছন্দে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন শিল্পীরা।
কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবারের আসরের থিম সং ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ইওরস টু টেক’ গেয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন ডমিনিক গাইছেন লিল ববি। তাঁর গানের সঙ্গে মঞ্চ মাতান অনেক তারকারা।
অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের পতাকা ও জার্সি পরে সবাইকে মুগ্ধ করেন পারফর্মাররা। ২০১০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে পিটবুল, জেনিফার লোপেজের গাওয়া ‘ওলে ওলা’ গানেও পারফর্ম করা হয় মরুর বুকে। গানের পাশাপাশি তুলে ধরা হয় কাতারের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি।
শুরুর গান শেষ হতেই মঞ্চে পা রাখেন হলিউড কিংবদন্তি মরগান ফ্রিম্যান। তিনিও কিছুক্ষণ মাতান ভক্তদের। এরপর আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য জাংকুক। কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গান ‘ড্রিমারস’ গান তিনি। তার সুরের ছন্দে তাল মেলায় কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইব। তাদের সঙ্গে গেয়েছেন কাতারের গায়ক ফাহাদ আল কুবাইশি।
এরপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানেন আয়োজক দেশের কর্মকর্তা। সবাইকে স্বাগত জানান কাতার বিশ্বকাপে। পর মুহূর্তেই আতশবাজির আলোর ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে আল বায়ত স্টেডিয়াম। শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। পর্দা ওঠে কাতার বিশ্বকাপের ২২তম আসরের!