রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৯ নভেম্বর, ২০২২ ৯:০৪ : অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নয়ন মিয়া (২২) নামে এক ছাত্রদল নেতা মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সাত পুলিশ সদস্য।
জানা গেছে, নিহত নয়ন উপজেলার চরশিবপুর এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার পৌর শহেরর মোল্লা বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা বিএনপির গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা সদর এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন।
প্রচারপত্র বিতরণ শেষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের ৯০-৯১ সালের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে উপজেলা সদরে মোল্লা বাড়ি থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মিছিলটি উপজেলা সদরের বাজার, বাঞ্ছারামপুর থানা ও উপজেলা পরিষদ এলাকা অতিক্রম শেষে পুনরায় মোল্লা বাড়ির মসজিদের সামনে গিয়ে জড়ো হয়।
সেখানে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমের নেতৃত্বে পুলিশ জড়ো হয়। পুলিশ সে সময় সায়েদুজ্জামান কামালকে আটক করতে যায়। এক পুলিশের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি থেকে এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। তখন নয়ন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ নয়ন উন্নত চিকিৎসারা জন্য ঢাকা আনার পথে মারা যান।
এদিকে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলের সময় পুলিশের সাত সদস্য আহত হন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম (৪১), পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে (৩২), উপ-পরিদর্শক আতিউর রহমান (৩৫), আফজাল হোসেন (৩০), বিকিরণ চাকমা (৩২), কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩৩) ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস (২৬)। আর ঘটনাস্থল থেকে রফিকুল ইসলাম (৪২) ও সাইদুর রহমান (২৫) নামে বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।