সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১ নভেম্বর, ২০২২ ১১:০১ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠে সংসদ।

মঙ্গলবার অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের সময় বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, এই খাতে হরিলুট চলছে। বিষয়টি নিয়ে একদিন সংসদে সাধারণ আলোচনা হওয়া দরকার।

জবাবে সাধারণ আলোচনার পক্ষে মত দিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জোট সরকারের আমলে দিনে ১৭ ঘণ্টা দেশ অন্ধকারে ছিল। বিদ্যুৎ চাওয়ায় গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।

জবাবে সাধারণ আলোচনার পক্ষে মত দিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জোট সরকারের আমলে দিনে ১৭ ঘণ্টা দেশ অন্ধকারে ছিল। বিদ্যুৎ চাওয়ায় গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।

এরপরই রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানিকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা দেয়ার সত্যতা জানতে চেয়ে সংসদকে উত্তপ্ত করে তুলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

সম্পূরক প্রশ্ন উত্থাপনকালে জাপা মহাসচিব মুজিবুর হক চুন্নু বলেন, আমরা লোডশেডিংয়ের মধ্যে আছি। আশা করছিলাম এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা জানালেন, আগামীতে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ গতে পারে। জানি না কী পরিস্থিতি তৈরি হবে। পত্রপত্রিকায় দেখলাম বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি কোম্পানি রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানিকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। আবার সঞ্চালন লাইনের অভাবে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নেওয়া যাচ্ছে না।

বক্তব্যের সময় আসল পরিস্থিতি কী তা জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে হারুনুর রশীদের বক্তব্যে সংসদ সদস্যরা হৈচৈ শুরু করেন। এক পর্যায়ে স্পিকার হারুনুর রশীদকে থামানোর চেষ্টা করেন।

স্পিকার তাকে প্রশ্ন করার অনুরোধ জানাতে হারুনুর রশীদ বলেন, আমি জোট সরকারের আমলে চালের দাম, তেলের দাম, ডিমের দাম, বিদ্যুতের দাম কত ছিল, তা জানতে চাই।

এরপর প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উত্তর দিতে উঠলে অধিবেশন কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। সত্য কথা অনেকে সহজভাবে নিতে পারেন না। আমিও চাই সংসদে একদিন সময় দেয়া হোক। জ্বালানি নিয়ে আলোচনা হোক। নাইকো মামলা নিয়ে যে পরিমাণ তথ্য আমাদের হাতে আছে, তাদের নেতা তারেক জিয়ার বন্ধু যে পরিমাণ সাক্ষাৎকার এফবিআইয়ের কাছে দিয়েছেন তার রেকর্ড আমরা তুলে ধরতে চাই। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টে যে পরিমাণ চুরি হয়েছে, সেই তথ্য-প্রমাণও আমাদের হাতে আছে। আমরা সেগুলো এই সংসদের স্ক্রিনে দেখাতে চাই।

তিনি বলেন, খাম্বা কোম্পানি তৈরির পর লুটপাটের হিসাবও আমাদের কাছে আছে। নির্বাচন সামনে আসছে, প্রস্তুত থাকুন, সব কিছু আমরা দেশবাসীকে দেখাব। জোট সরকারের আমলে সকলেই ১৭ ঘণ্টা অন্ধকারে ছিলেন। আর উনি বিদ্যুতের দামের কথা বলেন। অন্ধকারে থাকার যে সংকট, সেই কষ্টের কথা বলেন। সেই সময় বিদ্যুতের অপচয় ছিল ৪৪ শতাংশ। এই অপচয়টা দুর্নীতির মধ্যে পড়ে। পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন তারা। বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে কানসাটে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। খাদ্যই তো দিতে পারেননি, দাম নিয়ে আলোচনা কী হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা চলবে। লজ্জা-শরম নেই বলেই তারা এই আলোচনা করেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন বিএনপির রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশের ব্যয় হচ্ছে সোয়া এক লাখ কোটি টাকা। আর একই ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতের ব্যয় হচ্ছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। পাকিস্তান আমলে ভূমি অধিগ্রহণ সত্ত্বেও কেন চার গুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে?

কাতারসহ অন্য দেশ থেকে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও স্পট মার্কেট থেকে কেন জ্বালানি কেনা হচ্ছে তা জানতে চান বিএনপির এই সাংসদ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর