রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৭ অক্টোবর, ২০২২ ৪:০৪ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি। মানুষের কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্নয়ন, আমদানি ও জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন পায়রা সমুদ্রবন্দরে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? যারা এই প্রশ্নটা করেন তাদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য কেনায়, সার কেনায়। রিজার্ভের টাকা জনগণের কল্যাণে এবং আমদানিতে ব্যয় হয়েছে। কেউ এই অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি।
আরও পড়ুন:
চিবিয়ে নয়, রিজার্ভের টাকা গিলে ফেলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
রিজার্ভের যে অবস্থা, দিনে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবে: তৌফিক-ই-ইলাহী
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা পটুয়াখালী জেলার পায়রায় যুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, পায়রা সমুদ্র বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল ও ছয় লেনের সংযোগ সড়ক এবং একটি সেতু নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ফলে বন্দরটিকে তার পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করতে সক্ষম হবে এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে, যার সুফল জাতি যুগ যুগ ধরে ভোগ করবে। সামান্য সার্ভিস চার্জে এই টাকা আসলে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে এবং ঘরের টাকা ঘরেই থাকছে। কেবলমাত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, পায়রা বন্দর নামটি তারই দেওয়া এবং সরকার এখানে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে এবং এই বন্দরে কয়লার জাহাজ আনয়নের মাধ্যমেই বন্দরের জাহাজ চলাচল শুরু হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল নিজস্ব অর্থায়নে এটি করার। কারণ, বিদেশি অর্থে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। যে কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভের টাকা দিয়েই একটি ফান্ড তৈরি করি। যার নাম রাখি ‘বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’ (বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল)। সেই ফান্ডের টাকা দিয়েই বন্দরের ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়। যাতে আমাদের রিজার্ভের টাকা আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা সম্ভব হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর ওপর অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সূত্র: বাসস