রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ অক্টোবর, ২০২২ ২:০৯ : অপরাহ্ণ
পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজানে পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে হত্যার ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনাসহ ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁইয়ার আদালতে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান এই মামলার আবেদন করেন।
তবে মামলা গ্রহণ বা খারিজের বিষয়ে আদালত এখনও কোনো আদেশ দেননি।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন-রাউজান থানার ওসি কেফায়েত উল্লাহ, নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনজার্চ এসআই শেখ মো. জাবেদ
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বর্তমানে রংপুরের পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিকেলে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের ঠেলারঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীরে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর লাশ পাওয়া যায়।।
লাশ উদ্ধারের পর নুরুর মাথায় গুলি এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। লাশটি হাত-পা রশি দিয়ে ও শার্ট দিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিল। এ ছাড়া মুখের ভেতর ওড়না ঢোকানো পাওয়া যায়।
মরদেহ উদ্ধারের আগের দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নুরুকে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরা এলাকায় তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
নুরুর পরিবার ও বিএনপি-ছাত্রদলের দাবি, নুরুকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে পুলিশ।
নুরুর বাড়ি রাউজান উপজেলার গুজরা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের কমলার দীঘিরপাড় এলাকায়।
নুরু চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নুরুর মরদেহ উদ্ধারের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, জেলা পুলিশের একটা সশস্ত্র টিম বাসা থেকে নুরুকে তুলে নিয়ে যায়। টিমের কয়েকজন পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ছিল। কয়েকজন ছিল সাদা পোশাকে। রাউজান থানার নোয়াপাড়া ফাঁড়ির এস আই জাবেদ টিমের নেতৃত্ব দেয়।
তবে পুলিশের এসআই জাবেদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।