রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ অক্টোবর, ২০২২ ৯:২৭ : পূর্বাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ছয় জেলায় পাঁচ নারী ও দুই শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায় আর দুজনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে।
তথ্যানুসারে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জন, সিরাজগঞ্জে ২, ভোলায় ৩, বরগুনা ১, শরীয়তপুর ১ ও নড়াইলে ১ জন নিয়ে এখন পযর্ন্ত ১১ জন মারা গেছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ঝড়ের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া যায়নি।
গতকাল সোমবার রাতের প্রথম ভাগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এতে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপৎসংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতের পর আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ও মূল কেন্দ্র রাত ৯টায় উপকূলে আঘাত হানে। তবে দুপুর থেকেই দমকা হাওয়া বইছিল দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে।
তখন নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে গাছের ডাল পড়ে মারা যান মর্জিনা বেগম (৪০) নামে এক নারী।
এরপর রাতে ভোলার সদর ও চরফ্যাশনের শশিভূষণে গাছ চাপায় দুইজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া একই জেলার দৌলতখালে, ঘর চাপায় এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
বরগুনার সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকায় একটি ঘরের চালে গাছ পড়লে ওই ঘরে থাকা আমেনা খাতুন নামের এক নারী মারা যান।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলাকালে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল পশ্চিমপাড়ায় ঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল ঢেউয়ে সিরাজগঞ্জে নৌকাডুবিতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত নয়টার দিকে জেলা সদরের সয়দা ইউনিয়নের মোহনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া শরীয়তপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মারা গেছেন আরও দুজন।