রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ অক্টোবর, ২০২২ ৬:০১ : অপরাহ্ণ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কখনো সরাসরি দেখেননি, তাকে দেখার ইচ্ছে নেই বলেও মন্তব্য করেছেন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন।
আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে দুপুর দেড়টায় মন্ত্রণালয়ে আসেন বিদায়ী সচিব। এরপর সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
আপনি লন্ডনে গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে কারো সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে একটা কথা শোনা যাচ্ছে-এ বিষয়ে বিদায়ী সচিব বলেন, ‘আমরা লন্ডনে গিয়েছি গত মার্চ মাসে। আমরা একটা টিম নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের আশিকুন্নবী আছেন, আমাদের প্রেস। তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে হয়তো আপনার যোগাযোগ তৈরি হয়েছে বলা হচ্ছে-এ বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘প্রবাদে আছে, হাতি যখন কাদায় পড়ে, চামচিকাও লাথি মারে। সেটা তো মার্চ মাসে হয়েছে। এখন সেই প্রশ্নটা আসে কী করে? আমি তারেক রহমানকে কোনোদিন দেখেছি বলে মনে হয় না। তারেক রহমানকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই।’
বিদায়ী সচিব বলেন, ‘যে সারাজীবন একটাতে বিলং করল, যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, সে বিএনপির লোকের সঙ্গে কানেকশন রাখবে, এটা হয় না। এটা হতে পারে? বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ হলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে আপত্তি নেই।’
আপনি কি মনে করতে পারছেন, কী কারণে এটি ঘটতে পারে? আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে অনিয়মের বিষয়টি আছে। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারের কাছে ছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার কোনো অপরাধ ছিল কি না বা কোন অপরাধের কারণে অবসরে দেওয়া হয়েছে, সেটি আমার জানা নেই। আমি যতদিন এখানে কাজ করেছি, সততার সঙ্গে করেছি, নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি, সরকারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।’
একটা কথা শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রীর সঙ্গে আপনার একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আপনি অনেক কাজেই মন্ত্রীকে অবহিত করেননি-এ অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদায়ী সচিব বলেন, ‘মানুষ অনেক কথাই বলে। অনেক কিছুই শোনা যায়। শোনা কথা বিশ্বাস না করাই ভালো। আমার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে কেন দূরত্ব থাকবে? আমরা তো সবাই মিলেই কাজ করি। দূরত্বের কথা কেন আসছে আমি জানি না।’
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার তথ্যসচিব মকবুল হোসেনকে জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানোর কথা জানায় সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন (৫৫১৪)-কে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।’