নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৩ অক্টোবর, ২০২২ ৪:৩১ : অপরাহ্ণ
ঢাকায় বসে সিসিটিভি দেখে ভোট বন্ধ করে দেওয়া কতটা যৌক্তিক-আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের যদি ইসির সঙ্গে বসে নির্বাচন দেখতেন, তিনিও বুঝতেন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন কী হয়েছিল?’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘অনেকের বক্তব্য শুনেছি, এটা কী করে সম্ভব হলো অফিসে বসে এতগুলো কেন্দ্র দেখা। সিসিটিভি দেখে রাস্তার নিয়ন্ত্রণও বিভিন্ন দেশে করা হয়। সিস্টেমটাকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে একটা জায়গায় বসে ২০০, ৪০০ জায়গার ফ্যাক্টস সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। আমরা মনে করি, এটা জুতসই একটা প্রযুক্তি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের অবস্থা একই রকম দেখা যায়। এরই মধ্যে রিটার্নিং অফিসার একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন।’
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়লো জালিয়াতি, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত
সিইসি বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধে হঠকারি কিছু করেনি কমিশন। নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আইনের ৯১ ধারায় বলেছে, আমরা যদি মনে করি, কী দিয়ে মনে করলাম, ঢাকায় বসে মনে করব, না কুমিল্লায় বসে করব, না চট্টগ্রামে বসে করব বা আমরা জাহাজে বসে মনে করতে পারি, তা নয়; আমাদের কাছে যদি অনুমিত হয়, নির্বাচনটা সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন কমিশন যেকোনো কেন্দ্রের বা সব কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে।’
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে গতকাল বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে নানা অনিয়মের কারণে একের পর এক কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ইসি। দুপুর নাগাদ এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে বেলা আড়াইটার দিকে পুরো ভোট গ্রহণই বন্ধ ঘোষণা করা হয়।