নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ অক্টোবর, ২০২২ ২:৫৬ : অপরাহ্ণ
গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দেওয়ার দৃশ্য দেখে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার কথা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করলাম, কিছু কিছু কেন্দ্রে সিসি টিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারছিলাম না। আমরা আমাদের পদস্থ কর্মকর্তাদের রেখে দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্ষ ত্যাগ করেছি। এরপরে আরও ৭টি কেন্দ্র থেকে আমাদের অনুমোদন নিয়েছেন। আমরা সম্মত হয়েছি। ৫০টি কেন্দ্রের ভোট আমরা বন্ধ করেছি এবং একজন রিটার্নিং অফিসার একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করেছেন। অর্থাৎ সর্বমোট ৫১টি ভোট আমরা বন্ধ করেছি।’
এর আগে দুপুর পর্যন্ত মোট ৫১টি কেন্দ্রের নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এই উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি ভোটকেন্দ্র ছিলো।
এর আগে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।’
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।
এই আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান ছাড়া বাকিরা ভোটে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে ভোট বর্জন করেন।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।