সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে: চীনা রাষ্ট্রদূত


তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ অক্টোবর, ২০২২ ৬:০৩ : অপরাহ্ণ

অবশেষে চীনের সহায়তায় তিস্তা প্রকল্প আধার কেটে আশার আলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আজ রোববার দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ও সেচ প্রকল্প পরিদর্শনে যাওয়ার পর এমন আশা জাগিয়ে তুলেছে তিস্তাপাড়ের মানুষজনদের মাঝে।

চীনা রাষ্ট্রদূত তিস্তাপাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তিস্তা একটি বৃহৎ নদী, এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। এটি বাংলাদেশে আমার প্রথম কাজ। যদিও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের, এরপরও এটি করবো।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে এবং দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এ সময় চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা মি. ওয়াং ঝিহং, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মি. জিইউ ঝিকিন সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

উল্লেখ, শেখ হাসিনা সরকার যেমন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগ্রহী, তেমনি চীন সরকারও এগিয়ে এসেছে অর্থায়নে। ইতিমধ্যে অর্থের যোগান দিতেও আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদীর ডান-বাম উভয় তীর ঘেঁষে ২২০ কিলোমিটার উঁচু গাইড বাঁধ, রিভার ড্রাইভ, হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ, পর্যটন কেন্দ্র, ১৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প-কারখানা, ইপিজেড, ইকোনমিক জোন, কয়েক লাখ হেক্টর কৃষি জমি উদ্ধার, বনায়ন ইত্যাদি রয়েছে। এতে পাল্টে যাবে তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষজনের জীবনমান।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর