ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় দিনভর বিভ্রাটের পর বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ফিরতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ। এরই মধ্যে ঘোড়াশাল, টঙ্গীসহ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা, গুলশান, বারিধারা, মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে আরও কয়েক ঘণ্টা। আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংযোগ দেয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ আর জরুরি স্থাপনায়।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সচিবালয়ের গেট, চারপাশ ও সচিবালয় চত্বরের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা হয়। ওই সময় বিদ্যুৎ আসে বিদ্যুৎ ভবনেও। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় সচিবালয়ের ভবনগুলোতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সন্ধ্যার পর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চলে দ্রুত বিদ্যুৎ রিস্টোর (সংযোগ পুরনায় সচল) হচ্ছে। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে এবং ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের আংশিক এলাকায় সরবরাহ চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইন বিভ্রাটের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহসহ দেশের অর্ধেকের বেশি স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যুৎহীন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বন্ধ হয়ে যায় শিল্প-কারখানার চাকা। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েন হাসপাতালের রোগীরা।
অবস্থা সামাল দিতে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। তবে ঠিক কী কারণে এ বিপর্যয় তার কারণ জানা যায়নি।
এর আগে ২০১৪ সালের পয়লা নভেম্বর পুরো দেশ অন্ধকারে ঢেকে যায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে ১২ ঘণ্টার বেশি।