নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৯:৩১ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি হাঁটুভাঙা নয়, আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগেরই কোমর ভেঙে গেছে।’
‘বিএনপি হাঁটুভাঙা বলে লাঠির ওপর ভর করেছে’-আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল আয়োজিত ‘প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশে’ তিনি এ কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপরে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের এরই মধ্যে কোমর ভেঙে গেছে। আপনারা শুধু লাঠি নয়, রামদা-তলোয়ার এবং পুলিশের বন্দুকের ওপরে ভর দিয়ে হাঁটছেন। জনগণের সঙ্গে নেই, আপনারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। সেজন্য আপনাদের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকতে হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় টিকে আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সোনার ছেলেদের হাতে লাঠি তুলে দিয়েছেন তারা। ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এ সরকার।’
আওয়ামী লীগ বরাবরই সন্ত্রাসী দল অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের জন্ম সন্ত্রাসের মধ্যদিয়ে। তারা একদিকে বলেন সোনার ছেলেদের হাতে কলম তুলে দিয়েছি। অন্যদিকে তাদের হাতে বন্দুক-পিস্তল-লাঠিসোঁটা দিয়ে দিচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট থেকে আপনারা দেখেছেন, জনগণের দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। সেই আন্দোলনে যখন মানুষ জেগে উঠছে তখন তারা আন্দোলন ঠেকাতে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। আন্দোলনে তারা পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় ২৫ হাজারের ওপরে নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ৩ হাজারের মতো নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। তা না হলে কেন তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠি, বন্দুক এবং টিয়ারগ্যাস নিয়ে আক্রমণ করবে?’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখনো সময় আছে ওই সব উল্টা-পাল্টা কথা না বলে আপনারা শান্তিতে পদত্যাগ করুন। সেফ এক্সিট নেন এবং একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন।’
ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।