রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৪৬ : অপরাহ্ণ
পঞ্চগড়ের বোদায় উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় তিন দিনে ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকে আউলিয়া ঘাটে পুনরায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা। আজ সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আরও ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকা যোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০ থেকে ৬০ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে স্রোতের কারণে অনেক মরদেহ পানিতে ভেসে যেতে পারে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই দিনের উদ্ধার করা মরদেহের তালিকা থেকে জানা গেছে, অজ্ঞাত এক মরদেহ বাদে ৫০টি মরদেহের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী ও শিশু ১৩ জন। বোদা উপজেলার মারা গেছে ২৯ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ১৮ জন এবং আটোয়ারী উপজেলা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় সদরের একজন করে মারা গেছেন।
গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও নারী এবং অধিকাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী।
ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।