রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৫:৪৭ : অপরাহ্ণ
খুলনা পিবিআইয়ের কাছে মুখ খুলেছেন নিখোঁজের ২৯ দিন পর ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম।
উদ্ধারের ১৪ ঘণ্টা পর তিনি পিবিআইয়ের কাছে দাবি করেন, ২৭ আগস্ট রাতে পানি নিতে নেমে অপহৃত হন। চারজন তাকে জাপটে ধরে নাকে রুমাল ধরলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তার কিছু মনে নেই।
আজ রোববার বেলা ৩টায় খুলনা পুলিশ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকের রহমান এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিমা অপহৃত হয়েছেন বলে দাবি করেন। অপহৃত হওয়ার কিছু দিন পর ১ হাজার টাকা তার হাতে দিয়ে মুকসুদপুরের বাসে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে পরিচিতদের কাছে কয়েকদিন কাটান। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার সৈয়দপুরে কুদ্দুসের বাড়িতে ওঠেন। সেখানেই তিনি অবস্থান করছিলেন।’
সৈয়দ মোশফিকের রহমান বলেন, ‘সৈয়দপুরে অবস্থানের সময় এ ঘটনাটি আলোচিত হলে স্থানীয় একজন বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নজরে নেন। ওই জনপ্রতিনিধি এ বিষয়টি খুলনার দৌলতপুরের একজন কাউন্সিলরকে জানান। তিনি ঘটনাটি দৌলতপুর থানায় জানালে পুলিশ ২৪ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।’
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের ২৯ দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস বিশ্বাসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নামেন রাহিমা বেগম (৫২)। পরে দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি বাসায় না ফেরায় মায়ের খোঁজে সন্তানরা সেখানে গিয়ে তার ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।
এ ঘটনার পর দৌলতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন তার মেয়ে। এ মামলায় ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব। তারা হলেন- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজের দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল ও হেলাল শরীফ।
পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেন। বর্তমানে এ মামলা তদন্ত করছেন পিবিআই পরিদর্শক আব্দুল মান্নান।