নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৮:৩১ : অপরাহ্ণ
যুবদল নেতা শাওনের মৃত্যুতে আব্দুর রহিম এবং নুর আলমের মৃত্যুতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, এই অভ্যুত্থানকে কখনো বন্ধ করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
‘মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মীরকাদিম যুবদলের নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন হত্যার প্রতিবাদে’ এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল। সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সারা দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমি আহ্বান জানাতে চাই- এই দেশকে রক্ষা করার জন্য এই সরকারকে সরাতে হবে। আমরা জনগণকে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর কথা বলছি না। কারণ এদেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। আসুন, আজকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। সমগ্র মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ করি। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করি। একটা দুর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি করি। যেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করি।’
সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পরিষ্কার কথা, এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারকে ক্ষমতা দিন এবং সংসদ বিলুপ্ত করুন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শাওন নয়, এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে চারজন সন্তানের রক্ত নেওয়া হয়েছে।আজকে রক্ত ঝরিয়ে, হত্যা করে, ভয় দেখিয়ে, গুম করে, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়ে, মিল-কারখানা পুড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। মুন্সীগঞ্জে শুধুমাত্র শাওনকে হত্যা করে তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। এরপর তারা বিএনপি নেতার কারখানা জ্বালিয়ে দিয়েছে, বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। গোটা মুন্সীগঞ্জে তারা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।’
সমাবেশে মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত শাওনের বাবা সোহরাব আলী ভুঁইয়া বলেন, ‘আমার মৃত ছেলের নামে মামলা করা হয়েছে। এটা কীভাবে হয়? আমরা কোন দেশে বাস করি? আমি গরিব মানুষ। আমার ছেলে মিছিলে গেছে তাকে গুলি করে মারছে। আপনাদের কাছে বিচার চাই, যারা আমার ছেলেকে গুলি করে মারছে তাদের বিচার করে দেবেন।’
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, কামরুজ্জামান রতন, সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, মীর আলী নেওয়াজ, মহানগরের আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।