রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:০৯ : অপরাহ্ণ
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে আহত যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওন (২৬) মারা গেছেন। মাথায় পুলিশের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন বলে বিএনপি দাবি করে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শাওনের।
রাতে গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শাওনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরের মীরকাদিম পৌরসভার মুরমা গ্রামে। তার বাবার নাম ছোয়া আলী ভূইয়া। পেশায় শাওন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
পাশাপাশি তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে শাওন ছিলেন বড়। স্ত্রী সাদিয়া আক্তার ও এক বছরের ছেলে আবরারকে নিয়ে তিনি গ্রামে থাকতেন।
শাওনের মৃত্যুর খবরে মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা গ্রামের নিজ বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের কান্না-আহজারিতে সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
গত বুধবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় শাওনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় আঘাত ছিল। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ-উল-ইসলাম ও সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ বিএনপির মিছিলে বাধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ প্রথমে বিএনপির মিছিলের ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এরপর নেতা-কর্মীদের লাঠিচার্জ করে। তখন নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে উপর্যপুরি ইটপাটকেল মারেন। এসময়ে পুলিশও কাদানে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ৬০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে আইসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।