রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৫:৩১ : অপরাহ্ণ
ভারত সফরের অর্জন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভারত থেকে একেবারে শূন্য হাতে আসিনি। এটা আসলে মনের ব্যাপার। যেমন বাংলাদেশে এতো কাজ করার পরেও বিএনপি বলে কিছুই করিনি। কী পেলাম সেটা আপেক্ষিক। যদি প্রশ্ন করি, কী দিলাম? বাংলাদেশের প্রায় চারপাশ দিয়েই কিন্তু ভারত।’
ভারত সফর নিয়ে আজ বুধবার বিকেল ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সফরে যথেষ্ট আন্তরিকতা পেয়েছি। নিজে ভালো হলে সব ঠিক। আর যদি এদিক-ওদিক করেন তাহলেতো..।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জ্বালানি সংকট সমাধানে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। ডিজেল আনার পাইপ লাইন ভারত তৈরি করে দিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাইপ লাইন দিয়ে দিনাজপুরে ডিজেল আসবে। এ ছাড়া ভারত থেকে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ভারতের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোন পণ্য ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেননি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবো কিনা সেটা সময় বলে দেবে। নির্বাচনে আসা না আসা সেটা যে কোনো দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে আওয়ামী লীগকেই দেশের মানুষ ভোট দেবে।’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে সরকারপ্রধান বলেন, এবারের ভারত সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। কুশিয়ারার পানি বণ্টনের চুক্তি আমাদের জন্য বড় অর্জন।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়।