নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৮:২৩ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরপর মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে অন্যান্য বাহিনীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেটের সামনে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ বলেন।
‘চাল, ডাল, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়াসহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন প্রধানকে হত্যার প্রতিবাদে’ এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ১৬টি সমাবেশ করার কথা রয়েছে। উত্তরার এ সমাবেশ নিয়ে দুটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। স্থান পরিবর্তন করতে হয়। গত বছর মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র র্যাবের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। এটা জাতির জন্য লজ্জার। অথচ সরকারের লজ্জা হয় না। বরং তারা এটা নিয়ে লাফালাফি করে। নারায়ণগঞ্জে আমাদের যুবদলের নেতা শাওনকে গুলি করে পুলিশ হত্যা করেছে। পুলিশের কাছে চাইনিজ রাইফেল কীভাবে গেল, তার ব্যাখ্যা আমরা সরকারের কাছে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে পাইনি। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এর কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এভাবে আইন না মেনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে র্যাবের মতো অন্য যেকোনো বাহিনীর ওপর স্যাংশন আসতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। আমাদের প্রতিশোধ একটাই। আর সেটা হলো দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার, এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করানো। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এ আন্দোলনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। ভোলায় আব্দুর রহিম (স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী) প্রাণ দিতে দ্বিধা করেনি। আমরাও কেউ প্রাণ দিতে দ্বিধা করবো না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে সরকার গুম-খুন করে জনগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আবার একটা নির্বাচন আসছে, এটা নিয়ে পাঁয়তারা করছে। ইভিএম দিয়ে তারা নির্বাচন করতে চায়। পরিষ্কার করে বলছি, এই আওয়ামী লীগ থাকলে, হাসিনা সরকার থাকলে নির্বাচন হবে না। এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। মানুষ গর্জে উঠেছে, আমাদের বিজয় নিশ্চিত।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা ভালো নেই। রিজার্ভ নিয়ে সরকার বেশ লাফালাফি করেছিল। রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে নেমেছে। যা তিন মাসও চলবে না। ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ব্যাংককে নিরাপদ বোধ করছে না। বিদেশি বিনিয়োগ নেই। গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের লোকজন পাচার করেছে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক।