নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১:৪১ : অপরাহ্ণ
পরিবারের আবেদন পেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী মো. আনিসুল হক।
আজ শনিবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় দেওয়া মুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ সেপ্টেম্বর। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হবে। আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। ’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া দেয় আদালত।
রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না-এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে।
সবশেষ গত ২৩ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়।
এরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
সবশেষ দেওয়া আদেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ সেপ্টেম্বর।