রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৪৫ : অপরাহ্ণ
জিতলেই এশিয়া কাপের ফাইনাল, হারলে বাড়তো অপেক্ষা-এমন সমীকরণের ম্যাচে নিজেদের অপেক্ষা বাড়তে দিলো না পাকিস্তান।
সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। শেষ ওভারে নাসিম শাহের দুই ছক্কায় আফগানিস্তানকে উড়িয়ে চলমান এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রেখেছে বাবর আজমের দল।
অন্যদিকে আসর থেকে বিদায় লেখা হয়ে গেছে আফগানিস্তান ও ভারতের।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
আজ বুধবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২৯ রান তুলে আফগানিস্তান। জবাবে পাকিস্তান ১৯.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান শুরুটা দারুণ করে। কিন্তু এই ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। গুরবাজকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। ১১ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন গুরবাজ।
ষষ্ঠ ওভারে আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ হাসনাইন। ২১ রান করা জাজাইও ফেরেন বোল্ড হয়ে।
এর পর ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন করিম জানাত। ১৫ রানে তাকে ফাঁদে ফেলেন নেওয়াজ।
একই চেষ্টায় ব্যর্থ হন নাজিবুল্লাহ। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি ক্যাচ তুলে দেন ১১ রানে। নাসিম শাহের বলে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
দ্রুত মূল ব্যাটারদের হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। সেই চাপ সামলে আর বড় লক্ষ্য গড়তে পারেনি আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ হাসনাইন দুইটি উইকেট নেন। নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ নেওয়াজ এবং শাদাব খান নেন একটি উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুতে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের রানের গতিও নিয়ন্ত্রণে রাখে আফগানরা।
শারজাহর ধীর উইকেটে শুরুর ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন রশিদ খান-ফারুকি।
ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ইফতিখার-শাদাব খানও। তারা ৪৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ প্রায় বের করে নেন। শাদাব খেলেন ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। ইফতিখার করেন ৩৩ বলে ৩০ রান।
কিন্তু পরেই শারজাহয় উইকেট বৃষ্টি শুরু হয়। ৯৭ রানে পাঁচ উইকেট এবং ১১০ রানে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
তবু টিকে ছিলেন ফিনিশার আসিফ আলী। তিনিও ১৯তম ওভারে আউট হন ৮ বলে ১৬ রান করে।
শেষ ওভারে ১১ রান দরকার পাকিস্তানের। হাতে উইকেট মাত্র একটি। কিন্তু তরুণ পেসার নাসিম শাহ ভয় না করে ব্যাট চালান।
ম্যাচের সেরা বোলার ফারুকির বলে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ বের করে নেন।