নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৪:২৯ : অপরাহ্ণ
বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার নতজানু, তাই বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া এই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন। তারা চাইবে, আগামী নির্বাচনের আগে সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায় কিনা।’
আজ মঙ্গলবার শেরে-বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতিবার ভারতে যাওয়ার আগে অনেক আশা দিয়ে যান। তিস্তা চুক্তি হবে, ওই হবে, সেই হবে। কিন্তু এর কোনোটাই হয় না। এই বিষয়গুলো নির্ভর করে জনগণের শক্তির ওপর। জনগণ সরকারকে সমর্থন করলে, এগুলো করা সম্ভব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি-এই সরকার জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তাই বহির্বিশ্বে দেশের স্বার্থ রক্ষা করার কোনো চুক্তি তাদের পক্ষে এক প্রকার দুরূহ কাজ। সেটা আমরা লক্ষ্য করেছি মিয়ানমারের ক্ষেত্রে। মিয়ানমার বারবার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভেতরে প্রবেশ করে গোলা মারছে, কিন্তু এই নতজানু সরকার একটি প্রতিক্রিয়া জানানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। একইভাবে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ অন্যান্য যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো এই সরকার সমাধান করতে পারেনি। কারণ তাদের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না। আমরা এই কমিশন মানি না। এই নির্বাচন কমিশন গঠনই হয়েছে অবৈধ ও বেআইনিভাবে। আমরা বলেছি-এই কমিশন দিয়ে আগামী নির্বাচন হবে না।
নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে, অতীতে যে হাল হয়েছে এবারও তাই হবে। সেই কারণে এই নির্বাচন কমিশনার কী বললেন, আর না বললেন তাতে বিএনপির বা জনগণের কিছু যায় আসে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির লক্ষ্য একটাই-এই অবৈধ সরকারকে সরিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। সংসদ বিলুপ্ত করা এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।’