রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:০১ : পূর্বাহ্ণ
ম্যাচের আগে কথার লড়াইয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচেও ছড়িয়েছে উত্তাপ। ব্যাটিংয়ে চমক দেখিয়ে দারুণ করে বাংলাদেশ।
প্রতিপক্ষকে দেয় ১৮৪ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বল হাতে প্রতিপক্ষকে আটকাতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ক্যাচ মিসের মহড়া আর বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডুবে বাংলাদেশের।
আজ বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
টানা দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। এবার বাংলাদেশকে হারিয়ে এই গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে উঠল লঙ্কানরা।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করে শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও নিসানকা মিলে ভয় ধরিয়ে দেন বাংলাদেশকে।
কিন্তু অভিষিক্ত ইবাদত উইকেটে এসেই ভাঙেন এই জুটি। ২০ রানে বিদায় করেন নিসানকাকে। একই ওভারে সাজঘরে পাঠান উইকেটে আসা আসালাঙ্কাকেও।
জোড়া ধাক্কা খেয়েও রানের গতি সচল রাখে শ্রীলঙ্কা। পরের বার আক্রমণ এসে দানুশকা গুনাথিলাকাও আউট করেন ইবাদত। লঙ্কানদের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ।
৭৭ রানে ৪ উইকেট হারালেও শ্রীলঙ্কার রানের চাকা সচল রেখেছেন কুশল মেন্ডিস। জীবন পেয়ে তিনি খেলেন ৩৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস।
তিনি ফিরলে শেষ দিকে বাকিদের ওপর ভর করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় শ্রীলঙ্কা।
মূলত নিশানকা ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে যায় বাংলাদেশ। তাসকিন ছাড়া বাকি বোলারদের কেউই নিজেদের সেরাটা দিতে না পারায় একের পর এক রান আদায় করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে ৫১ রানে তিন উইকেট শিকার করেন ইবাদত হোসেন। তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। এছাড়াও একটি করে উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মাহেদি।
এর আগে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। দুই চারের মারে প্রথম ওভার থেকে আসে ১১ রান। ওপেনিং জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না, তবে রানের গতি ছিল।
তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলের জার্সি গায়ে জড়ানোটা রাঙানো হয়নি সাব্বিরের। টিকেছিলেন মাত্র ৬ বল। ৫ রান করে ফেরার আগে মেরেছিলেন একটি চার।
ওপেনিংয়ে নেমে সাব্বির ব্যর্থ হলেও অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন মেহেদী মিরাজ। ২৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে আউট হন এই অলরাউন্ডার।
মিরাজের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান মুশফিকুর রহিমও। বাজে শট খেলতে গিয়ে দ্রুতই আউট হন তিনি।
পরপর ২ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামলাতে মারমুখি হন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সফল হননি। একাদশতম ওভারের তৃতীয় বলেই ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। ফেরার আগে ২২ বলে ৩ চারে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন।
তবে হাতখুলে ব্যাট চালান আফিফ হোসেন। সঙ্গে চলে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটও। দুজনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি।
যে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং নিয়ে নিয়মিতই সমালোচনা হচ্ছিল, সেই মাহমুদউল্লাহও খেলেন ১২৩ স্ট্রাইক রেটে। ২২ বলের ইনিংসে এক ছক্কা ও এক চারে ২৭ রান করে আউট হন তিনি।
তবে মাহমুদউল্লাহর আগেই আউট হয়েছিলেন আফিফ হোসেন। ২২ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৯ রান করেন তিনি।
৫৭ রানের এই জুটি ভাঙার পর শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাসকিনের ব্যাটে চড়ে শক্ত পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
শেষ দিকে সৈকত খেলেন ৯ বলে ২৪ রানের ঝড়ো একটি ইনিংস। এক ছক্কায় তাসকিন খেলেন ৬ বলে ১১ রানের ইনিংস।