রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩১ আগস্ট, ২০২২ ৯:২৭ : পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সূচনা করে ইতিহাসের গতিধারা বদলে দেওয়া নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মঙ্গলবার মস্কোর একটি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। খবর এএফপির।
১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন গর্বাচেভ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। রাশিয়ার প্রথম নেতা হিসেবে ৯০ বছরের বেশি এবং স্নায়ুযুদ্ধকালীন সবশেষ জীবিত নেতা ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ।
ওই যুগের অন্যতম সর্বোচ্চ প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় গর্বাচেভকে। তার সংস্কারমূলক পদক্ষেপেই সোভিয়েত শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় পূর্ব ইউরোপ। এসব পরিবর্তনের কারণে পশ্চিমাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন গর্বাচেভ। ১৯৯০ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও পান।
কিন্তু একই কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ হন রাশিয়ার অনেকে। তাদের মতে, বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়ার অবস্থান ক্ষুণ্ন হওয়ার দায় গর্বাচেভের।
১৯৯৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে একবার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন এ নেতা। কিন্তু ওই নির্বাচনে মাত্র ০.৫ শতাংশ ভোট পান তিনি।
গত দুই দশকের বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক ছায়াতলেই কাটিয়েছেন গর্বাচেভ। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করলে এবং এ বছর ইউক্রেন আক্রমণের পরে উত্তেজনা আবারও স্নায়ুযুদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছালে ক্রেমলিন-হোয়াইট হাউজের সম্পর্ক সংশোধনে বারবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তবে জীবদ্দশাতেই নিজের বহু গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে বদলে যেতে দেখেছেন গর্বাচেভ।