রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ আগস্ট, ২০২২ ১১:১৫ : অপরাহ্ণ
হতাশার ব্যাটিংয়ে ডুবিয়েছেন নাঈম-মুশফিকরা। বোলিংয়ে ছিল ভিন্ন চিত্র। অল্প পুঁজি নিয়েও বেশ লড়েছেন বোলাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে উদ্ধার করতে পারেননি।
আফগানিস্তানের সঙ্গে সাত উইকেটের হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করলো সাকিব আল হাসানের দল।
আজ মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৯ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের পুঁজি ছিল মাত্র ১২৮ রানের। এই পুঁজি নিয়েই বল হাতে দারুণ করলেন বোলাররা।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। বিদায় করেন আফগান ওপেনার রহমত উল্লাহ গুরবাজকে। ৬ রানে জীবন পাওয়া গুরবাজ করেন ১৮ বলে ১১ রান।
আফগান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন সৈকত। তিনি তুলে নেন জাজাইয়ের উইকেট। সৈকতের করা স্টাম্প সোজা বল সুইপ করার চেষ্টায় লাইন মিস করেন আফগান ওপেনার। বল গিয়ে লাগে তার প্যাডে। আবেদন তোলে বাংলাদেশ, আম্পায়ারও সাড়া দিতে দেরি করেননি। ২৬ বলে ২৩ করে আউট হন এই ওপেনার।
এরপর বোলিংয়ে এসেই নবিকে বিদায় করেন সাইফউদ্দিন। আফগান অধিনায়ক ফিরলেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে ইব্রাহিম আর নাজিবউল্লাহ মিলে ফের বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট বিসর্জন দিয়ে টাইগার ব্যাটাররা ফিরছেন সাজঘরে।
এশিয়া কাপ শুরুর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। পরিবর্তন আনা হয়েছে দলে, পরিবর্তন হয়েছে কোচিংপ্যানেলও। তবুও পাল্টায়নি বাংলাদেশের ব্যাটিং চিত্র। কিন্তু সেই ঘুরে-ফিরে এশীয় মঞ্চেও ব্যাটিং নিয়ে ব্যর্থতায় পুড়লো বাংলাদেশ।
ওপেনিংয়ে ভরসা রাখা মোহাম্মদ নাঈম কিংবা এনামুল হক বিজয় কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন নাঈম শেখ। মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হন নাঈম। ফেরার ম্যাচে ৮ বলে ৬ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি ওপেনার।
এর কিছুক্ষণ পরেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার এনামুল। তিনিও কাটা পড়েন মুজিবের বলে।
আফগান তারকার অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল পুল করতে গিয়ে লাইন মিস করেন এনামুল। পরে রিভিউ নিয়ে তাকে সাজঘরের পথ দেখায় আফগানিস্তান। ১৪ বলে ৫ রান করে থামেন তিনি।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর একটু আগ্রাসী শুরু করেন সাকিব। তাকেও থিতু হতে দিলেন না মুজিব। রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করে সাকিবকে বিপদে ফেলে দেন তিনি। তার বল সাকিবকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৯ বলে ১১ রানে আউট সাকিব।
পাওয়ার প্লেতে মোটেই পাওয়ার দেখা গেলো না এনামুল-সাকিবদের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে করে স্রেফ ২৮।
চরম বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারলেন না মুশফিকও। নিজের প্রথম ওভারে এসেই তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। ৪ বলে ১ রান করেই থেমে যান মুশফিক।
এরপর উইকেটে এসে থিতু হওয়ার আভাস দেন আফিফ হোসেন। কিন্তু পারলেন না ইনিংস বড় করতে। তিনিও পড়েন রশিদের এলবির ফাঁদে।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর শেষ দিকে সৈকতের ব্যাটে কোনো মতে ১২৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এরপর বাকিদের নিয়ে কোনো রকম মান বাঁচায় সাকিব আল হাসানের দল। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কল্যানে কোনো মতে আফগানিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংস শেষে ৩১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সৈকত।
আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। ২২রান খরচায় রশিদ খান নেন সমান তিনটি উইকেট।