রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ আগস্ট, ২০২২ ৬:৪১ : অপরাহ্ণ
মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টারশেল উড়ে এসে বাংলাদেশের সীমান্তে পড়েছে।
আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় শেল দুটি পড়ার কথা জানায় পুলিশ।
তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অনেকে ওই গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের দুটি মর্টারশেল জিরো লাইন থেকে বাংলাদেশের আধা কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তুমব্রু সীমান্তে এসে পড়ে। এর মধ্যে একটি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পাশে, অপরটি ওই মসজিদ থেকে ২০০ গজ দূরে এসে পড়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা মোহাম্মদ আনিস বলেন, ‘বিকেলে বিকট শব্দে মর্টারশেলটি উত্তর পাড়ার আয়াজের বাড়ির কাছে এসে পড়ে। পরে আরও একটি গোলা কাছাকাছি রাস্তায় এসে পড়ে। আমরা আতঙ্কে আছি, কখন কি হয়।’
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি রাখাইনে মায়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতদিন পাহাড়ে গোলা ছুড়লেও আজকে উত্তর পাড়ায় মর্টারশেল গুলো পড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেগম সালমা ফেরদৌস জানান, ‘মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর আগেও এই ধরনের মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের মর্টার শেল দুটি ঘুমধুমের জনবসতি এলাকায় পড়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মর্টারশেলগুলো উদ্ধারে সীমান্তরক্ষী বিজিবি কাজ করছেন।’
সীমান্তে নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মর্টারশেল দুটো নিস্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির ওই সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের।
নানাভাবে চেষ্টা করেও এ বিষয়ে বিজিবির অধিনায়কের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি বাংলাদেশ- মায়ানমার সীমান্তে মায়ানমারের উত্তর মংডুর ৩৮নং সীমান্ত পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও রাখাইনের বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়াও রাখাইনের পালেতুয়া এলাকায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৭ জন মিয়ানমারের সেনাসদস্য নিহত হয়েছে।