রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ আগস্ট, ২০২২ ৫:৫২ : অপরাহ্ণ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনধিক ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সকল দলের মতামত আমলে নিয়েই নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুনির্দিষ্টভাবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি এবং সর্বনিম্ন একটি আসনেও ইভিএম ব্যবহার হতে পারে।
ভোট গ্রহণের এই যন্ত্রটি ব্যবহারে অনেক রাজনৈতিক দলই সংলাপসহ বিভিন্ন সময় বিরূপ মন্তব্য করেছে। সেসব উপেক্ষা করেই জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। সবকিছু বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ইসির ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সক্ষমতা রয়েছে।
যদি ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে হয় তাহলে নতুন করে মেশিন কেনার প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব।
গত ১৭ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর বেশিরভাগই ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে মতামত দেয়। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি সমমনা দল। ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে ৩০০ আসনেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করার দাবি জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপ সূত্রে জানা যায়, অংশ নেওয়া ২৬টি দলের মধ্যে ১৯টি ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের কেউ কেউ ইভিএমের বিপক্ষে, কেউ কেউ আবার আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ব্যবহারের পক্ষে ছিল। কেউবা আবার শুধুমাত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ইভিএম চায় না বলে সংলাপে জানায়।