নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৩ আগস্ট, ২০২২ ৮:১৬ : অপরাহ্ণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে পদত্যাগের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিডির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার।
ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ আজ শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেছেন। সেখানে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জিডিতে আইনজীবী মো. ইরশাদ হোসেন রাশেদ লিখেছেন, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পর থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নম্বর থেকে আমাকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আজ সকালে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে আমাকে বলা হয়, সমস্যার সমাধান করবি কি না? ‘আমি কিন্তু ডাইরেক্ট গুলি করে মাইরা ফালাই।’ আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে ফোনকারী বলেন, আমি গুলি কইরা মাইরা ফালাই, এটাই আমার পরিচয়। তারপর আমি ফোন কল কেটে দিই। পরে একই ব্যক্তি আবারও আমাকে কল করে কোর্টের সামনে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’’
জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদ হোসেন রাশেদ বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নোটিশ পাঠানোর পর ওইদিন রাত থেকেই বিভিন্ন দেশি-বিদেশি নম্বর থেকে কল আসছে। রিসিভ করলে বিভিন্ন গালিগালাজ করা হচ্ছে। এরপর থেকে অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোন রিসিভ করছি না। গতকাল সোমবার রাত ২টা পর্যন্ত কল আসে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, ভারত যেন তা করে সেজন্য তিনি ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বক্তব্যের বিষয়ে গত ২১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে মন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে গতকাল সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে, ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। নির্বাচন নিয়েও আমি কোনো কথা বলিনি।