শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের উকিল নোটিশ


পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ আগস্ট, ২০২২ ১১:৪৫ : পূর্বাহ্ণ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাম্প্রতিক দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।

আজ রোববার ডাক ও রেজিস্ট্রার যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইরশাদ হোসেন রাশেদ।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খোদ আওয়ামী লীগও এ বক্তব্যে বিব্রত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তা দেশের জন্য অসম্মানজনক।

অন্যদিকে বিএনপি লুফে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য। দলটির নেতারা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেই কথার অর্থ কী? তাতে কি এটা দাঁড়ায় এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে?’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে প্রতিবেশি বন্ধুদেশ ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকা ও আসার জন্য ভারতকে কখনো অনুরোধ করেনি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এটি কারো ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) তো আমাদের দলের কেউ নন। সুতরাং আমাদের দল তার এই বক্তব্যে বিব্রত হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তবে অনুরোধ করব তাকে যে তার কথাবার্তায়, তার দায়িত্বশীল আচরণের ভেতর দিয়ে এমন কিছু বলবেন না, যাতে কোনো দুষ্ট লোকেরা এর সুযোগ নিতে পারে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সে ব্যাপারে তিনি সতর্ক থাকবেন।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর