প্রতিনিধি, মোংলা প্রকাশের সময় :১৯ আগস্ট, ২০২২ ৭:২১ : অপরাহ্ণ
লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। তাই গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা বনবিভাগের দুবলার চরের ভেদাখালী খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ে দুবলা সংলগ্ন গভীর সাগরে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলার ডুবির মতো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে শুক্রবার ভোর থেকে দুবলার চর এলাকাসহ সাগরে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি বইছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার বলেন, গত রাত থেকেই দুবলার চরে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছে। সেই সাথে প্রচুর বৃষ্টিপাতও রয়েছে। কিন্ত শুক্রবার ভোর থেকে ঝড়-বৃষ্টি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দুবলার চরে আশ্রয় নিয়েছেন। চরের ভেদাখালী খালে ৫৪টি ট্রলার নিরাপদে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবারও মোংলা বন্দর, সাগর-সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এর প্রভাবে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, লঘুচাপটি ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, কিন্তু এটি নিম্নচাপে রুপ নেয়ার সম্ভাবনা কম। লঘুচাপে সৃষ্ট মেঘমালায় বৃষ্টিপাত হয়ে এটি দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা জুড়ে আরো দুই তিন দিন বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
মোংলা বন্দর বার্থ শিপ অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, বৃষ্টিপাত হলে জাহাজের পণ্যের সুরক্ষায় কাজ বন্ধ রাখা হয়।জাহাজের হ্যাচ/হ্যাজ (উপরের ঢাকনা) খোলা থাকলে বৃষ্টিতে মালামালের ক্ষয়ক্ষতিসহ জাহাজের অভ্যন্তরে পানি জমে। তাই বৃষ্টির সময় কাজ বন্ধ থাকছে, কমলে আবার শুরু হচ্ছে, এভাবেই কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, কাজ বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনও দেয়নি। কারণ তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতে বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকে না, তবে বিঘ্নিত হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, আমরা আবহাওয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বন্দরের কাজ কর্মও চলছে। আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।