নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৮ আগস্ট, ২০২২ ২:৫১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ছেলে মাইনুদ্দিন মাইনুকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হত্যাকাণ্ডের পর মাইনুদ্দিন মাইনু সাতকানিয়ায় চলে যান। কেরানীরহাট হতে বুধবার রাতে মাইনু
বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এ তথ্য জানতে পেরে র্যাবের একটি টিম নগরীর কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেয়। ওই বাসটি সেখানে আসলে সেখান থেকে মাইনুকে আটক করা হয়।
এরপর মাইনুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতকানিয়ার রসুলপুর এলাকার একটি গুদামঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মাইনুলের বোন শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ভাই মাইনুলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
গেলো মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সবজারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ছেলের গুলিতে খুন হন জেসমিন আকতার (৫৫)।
তিনি পটিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক প্রয়াত শামসুল আলমের স্ত্রী।
ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান অভিযুক্ত ছেলে মাইনুদ্দিন মাইনু।
পুলিশ জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০টি কার্তুজ ও একটি এয়ারগান জব্দ করে।
জানা গেছে, নিহত জেসমিন কিছুদিন পর মেয়ের কাছে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। মাইনুরের সন্দেহ ছিলো, সব সম্পত্তি বিক্রি করে মা বিদেশে পাড়ি দিতে চাচ্ছেন।
মাইনুরের বাবা শামসুল আলম মাস্টার ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত পটিয়া পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রশাসক এবং ১৯৯৩ ও ১৯৯৭ পরপর টানা দুইবার চেয়ারম্যান ছিলেন।
জুলাই মাসে শামসুল আলম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার এক মেয়ে ও দুই ছেলে।
অভিযুক্ত মাইনুদ্দিন পটিয়া কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান এবং তার নামে কয়েকটি মামলা আছে বলে জানা গেছে।