রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ আগস্ট, ২০২২ ৯:২৮ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারে গার্ডারচাপায় মারা যাওয়া আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের মরদেহ নিতে একে একে হাজির হন তার স্ত্রী দাবিদার সাত নারী। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কাউকেই রুবেলের মরদেহ দেয়া হয়নি। সমঝোতার ভিত্তিতেই শেষপর্যন্ত মরদেহ বুঝে দেয়া হয় রুবেলের ভাই জিয়ার কাছে।
সোমবার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রুবেলের ছেলে হৃদয়ের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা রুবেলের মরদেহ বুঝে নিয়েছি। মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে কবর দেওয়া হবে।’
রুবেল হোসেনের বোন রেহেনা খাতুন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের দুই স্ত্রী। বাকি স্ত্রীরা নিজের স্বামী দাবি করলেও তারা বিয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই আমার ভাইয়ের হাতে রুবেলের লাশ তুলে দিয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার ভাই ও আত্মীয় স্বজন মিলে অ্যাম্বুলেন্স যোগে লাশ নিয়ে মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সেখানে রাতে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ভোরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে লাশটি পৌঁছাবে। সকালের ২য় জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে রুবেলের লাশ দাফন করা হবে।’
রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার ক্রেন থেকে প্রাইভেটকারের ওপর ছিটকে পড়ে মারা যাওয়া ৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে স্বজনরা তিনটি অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ মরদেহ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ ত্যাগ করে।
প্রথমে নিহত ঝর্না আক্তার ও তার দুই সন্তান জান্নাতুল ও জাকারিয়ার মরদেহ নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যায়। এরপর ফাহিমা আক্তারের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বের হয়ে যায়। দুটি অ্যাম্বুলেন্সই জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গার্ডার দুর্ঘটনা: রুবেলের মরদেহের দাবিদার ৭ স্ত্রী