শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

ছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার


মামুন হোসেন ও খাইরুন নাহার দম্পতির আগের ছবি

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ আগস্ট, ২০২২ ৯:৫৬ : পূর্বাহ্ণ

ফেসবুকে প্রেম করে নাটোরের কলেজছাত্র মামুনকে (২২) বিয়ে করা খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নাটোর শহরের বলারিপাড়া হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নাহারের কলেজছাত্র স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।

মামুন-নাহার দম্পতি ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকতেন।

এলাকাবাসী জানান, রাত তিনটার দিকে তার স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরে মরদেহ মেঝেতে সোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। পরে নাহারের স্বামী মামুনকে আটক করে।

নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মৃত খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে।

মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এর আগে গত বছর ১২ ডিসেম্বর ছয় মাসের প্রেমের পর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়া এক ছেলের জননী খায়রুন নাহার কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে গোপনে বিয়ে করেন।

মামুনের পরিবার মেনে নিলেও নাহারের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। তাই নাটোর শহরে তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সারাদেশের সচেতন মানুষ ছাত্রকে শিক্ষিকার বিয়ের নিয়ে হাজারো মন্তব্য করে।

তবে তখন বর ছাত্র মামুন জোরালোভাবে বলতে থাকেন- ভালোবাসার কোনো বয়স নেই, মন্তব্য কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তার এমন বক্তব্যও সারাদেশে ভাইরাল হয়। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করা আলোচিত এই ছাত্র-শিক্ষিকা দম্পতির বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় মৃত্যুর মাধ্যমে প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটলো।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর