ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদিকে যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে এক যুবক ২০ সেকেন্ডে ১০-১৫ বার কুপিয়েছে। তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে সালমানের বইয়ের এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি জানান, এরই মধ্যে এক চোখ হারিয়েছেন সালমান। মারাত্মক জখম হয়েছে তার লিভার। ক্ষতিগ্রস্ত হাতের শিরাগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটের মঞ্চে সালমান রুশদির ভাষণ শুরুর আগমুহূর্তে তার ওপর হামলা হয়।
হামলার সময় তাৎক্ষণিকভাবে অনেকে ঠিক কী ঘটছে, তা বুঝতে পারছিলেন না। সালমান রুশদি মেঝেতে গড়িয়ে পড়ার পর দর্শকদের কেউ কেউ তার কাছে ছুটে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঞ্চে কারো সঙ্গে পরিচয় করানো হচ্ছিলো বুকারজয়ী ৭৫ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভুত বৃটিশ এই লেখককে। সেই সময় আচমকা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ২৪ বছরের ওই যুবক।
চলতে থাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো। ওই সময় যারা মঞ্চে ছিলেন, তারা সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ১০-১৫ বার কোপানো হয়েছে রুশদিকে। তার ঘাড়েও আঘাত করা হয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে পাঠায়। গ্রেপ্তার করা হয় হামলাকারীকেও। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত।
আটক ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী হাদি মাতার নিউ জার্সির বাসিন্দা। হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
বিতর্কিত উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’র জন্য ১৯৮৯ সালে মুসলিম বিশ্বে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন রুশদি। এমনকি তাকে হত্যার জন্য ফতোয়া ও ৩ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাণে বেঁচে গেলেও সালমান রুশদি ভেন্টিলেটরে আছেন। কথা বলতে পারছেন না এবং চোখও হারাতে পারেন।