বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা অর্থ-বাণিজ্য

এবার চালের বাজারে অস্থিরতা, দাম বাড়লো কেজিতে ১৫ টাকা



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ আগস্ট, ২০২২ ৩:০১ : অপরাহ্ণ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাক-সবজি ও মাছ-মাংস-ডিমের দামও। এবার বাড়ানো হলো চালের দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে চালের। এর মধ্যে মোট চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা, আর চিকন চালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে চালের দাম বাড়াতে হয়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে সবচেয়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি মানের মোটা পাইজাম কিংবা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে।

বিআর ২৮ ও ২৯ জাতীয় চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে। মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৪ এবং নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অথচ এক সপ্তাহ আগেও বিআর-২৮ জাতীয় চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৬৮ থেকে ৭২ এবং নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এসব চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা করে। এ ছাড়া সব ধরনের পোলাও চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন-মিলাররাই চাল মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করছেন। আর তাতেই দাম বাড়ছে।

আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির ডাবল সেঞ্চুরি

মহাখালীর ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী সুমন পাটোয়ারী বলেন, চালের দাম বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। মোটা পাইজম চাল আগে কেনা ছিল ২৪০০ টাকা বস্তা (৫০ কেজি ওজন)। সেই বস্তা আজ কেনা পড়েছে ২৬৫০ টাকা। যাতায়াত খরচসহ আমার কেনা পড়ছে ৫৫ টাকার বেশি। তাই বিক্রি করছি ৫৭-৫৮ টাকা। এইভাবেই সবধরনের চালের দাম বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের চাটখিল রাইস এজেন্সির কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, জ্বালানি তেল ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে চালের উৎপাদন ও যাতায়ত ভাড়া বেড়েছে। এ কারণে এখন চালের দাম বাড়ছে। মিলাররা চালের দাম বাড়িয়েছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির পর সব ধরনের নিত্যপণ্যের বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে খরচের বাড়তি বোঝা চেপেছে। এতে চরমভাবে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষ।

মোহাম্মদপুর এলাকায় ৫ বছর ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন দিনাজপুরের আক্কাস মিয়া। তিনি বলেন, আমি গরিব মানুষ। এতদিন ৫২ টাকা কেজি চাল কিনেছি। আজকে গিয়ে দেখি সেই চাল ৫৮ টাকা কেজি। আমাকে বাড়তি টাকা কে দেবে? সব কিছুর দাম বাড়তি, কিভাবে চলবো?

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর