সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা খেলা

ব্যর্থ সফরের শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ আগস্ট, ২০২২ ৮:০৩ : অপরাহ্ণ

একের পর এক পরাজয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের। এর মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছিল জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা।

তবে হারারেতে সিরিজের শেষ ম্যাচে কোনো অঘটন হতে দেয়নি বাংলাদেশ। বোলাদের কল্যানে তৃতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় তুলে নিলো তামিম ইকবালের দল।

ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে শেষ হলো। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে।

আজ বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রান তুলে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

রান তাড়া করতে নামা জিম্বাবুয়েকে প্রথম ধাক্কা দেন হাসান মাহমুদ। জিম্বাবুয়ের ওপেনার কাইতানোকে ফিরিয়ে দেন তিনি।

এর পর দ্বিতীয় ওভারে মিরাজ তুলে নেন আরেক ওপেনার টাডিওনাশে মারুমানির উইকেট।

এরপর চমক দেখালেন অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন। ওয়ানডে অভিষেকে নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই টানা দুই বলে তিনি নিলেন ২ উইকেট।

দুটি ডেলিভারিই ছিল দুর্দান্ত। প্রথমে ইবাদতের ব্যাক অব লেংথে কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধরা পড়েন মাধেভেরে (১)। পরের বলে ওয়াইড ইয়র্কারে ব্যাটে লেগে বোল্ড হন তুমুল ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজা। গত দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো রাজা আজ পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।

নবম ওভারে ইনোসেন্ট কাইয়াকে বিদায় করেন তাইজুল ইসলাম। পাওয়ার প্লেতে ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সেই চাপ কাটিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩৮ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন। ৩৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সমান একটি করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় বেশ দেখেশুনে শুরু করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত রান আউটের ফাঁদে পড়েন তামিম ইকবাল। ৩০ বলে ৩ চারে ১৯ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিম ফেরার পরপর আরো দুটি ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এক ওভারেই হারায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট। দশম ওভারে পেসার ব্র্যাড ইভান্সের শর্ট বল লাফিয়ে উঠে কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন শান্ত। গোল্ডেন ডাকেই সাজঘরের পথে হাঁটেন তিনি।

একই ওভারে মুশফিকও শর্ট বল আপার কাট করেন। বল হাওয়ায় ভেসে যেতে থাকে বাউন্ডারির দিকে। কিন্তু থার্ডম্যান থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নিয়ে মুশফিককে থামিয়ে দেন এনগারাভা। মুশফিকও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

দ্রুত তিন টপ অর্ডারের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে উদ্ধার করতে কিছুটা লড়াই করেন এনামুল হক বিজয়। তাকে সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে বাংলাদেশ পায় ৯০ বলে ৭৭ রান।

২৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙে জিম্বাবুয়ে। ডানহাতি পেসার লুক জঙ্গুয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি এনামুলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে চলে যায়। ৭১ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৬ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।

ব্যর্থ সফরের শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়

এনামুল ফেরার পর শুধু হতাশাই দেখেছে বাংলাদেশ। উইকেটে টিকে থেকে ডট বলের মহড়ায় চাপ বাড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ৩৯ রান করতে তিনি খেলেছেন ৬৯টি ডট বল।

মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর মেহেদি হাসান মিরাজ ২৪ বলে ১৪ রান করে সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউ হন। তাইজুল রানআউট হন ৫ রানে। ২২০ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে আফিফ হোসেন একাই লড়াই করে দলকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থেকে বাংলাদেশকে ২৫৬ রানের পুঁজি এনে দেন। ৮১ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ।

জিম্বাবুয়ের হয়ে লুক জনজি এবং ইভান্স ব্রাড দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিচার্ড এনগ্রাভা ও সিকান্দার রাজা।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর