রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৪ আগস্ট, ২০২২ ১:০৯ : অপরাহ্ণ
তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে চীন।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে অবস্থিত চীন দূতাবাসের ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণ তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের বৈধ এবং ন্যায়সঙ্গত অবস্থানকে সমর্থন করবে বলে বিশ্বাস করে তারা। এছাড়া বাংলাদেশ অতীতের মতো ‘এক চীন’ নীতিতে অটল থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় ওই বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রেক্ষিতে ওই বিবৃতিটি দেয়া হয়।
এতে পেলোসির সফর সম্পর্কে বলা হয়, এই সফর ‘এক চীন’ নীতির ভয়াবহ লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে চীনের স্বার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতায় আঘাত হানা হয়েছে। পাশাপাশি ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’র পক্ষে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও ভুল বার্তা দেয়া হয়েছে এই সফরের মধ্য দিয়ে। বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের তীব্র বিরোধীতা উপেক্ষা করে গত ২রা আগস্ট তাইওয়ান সফরে যান পেলোসি। এটি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চীন এই সফরের তীব্র বিরোধিতা এবং নিন্দা জানায়।
এরপরই এতে বলা হয়, বিশ্বে শুধু একটিই চীন রয়েছে এবং তাইওয়ান সেই চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার।
‘এক চীন’ নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোভাব একই এবং এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি প্রথাসিদ্ধ বিষয়। কিন্তু চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে পেলোসির এই সফর শুধু শান্তি এবং স্থিতিশীলতাই নষ্ট করবে না, এটি উত্তেজনা এবং সংঘাতের জন্ম দেবে। এতে পৃথিবীর চলমান অস্থির পরিস্থিতি আরও অনিশ্চয়তায় পড়বে।
বিবৃতির শেষাংশে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দীর্ঘ কালের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও চীন প্রতিবেশি হিসেবে দারুণ, বন্ধু হিসেবে বিশ্বস্ত এবং অংশীদার হিসেবে ভরসাযোগ্য। স্বার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং ভৌগলিক অখ-তা নিয়ে একে অপরের মূল স্বার্থকে সবসময় সমর্থন দিয়ে আসছে দেশ দুটি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ যেভাবে ‘এক চীন’ নীতিকে সমর্থন করেছে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অটল রয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানায় চীন। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণ সামনের দিনগুলোতে এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করবে। তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের বৈধ এবং ন্যায়সঙ্গত অবস্থানকে তারা বুঝবে এবং সমর্থন দিয়ে যাবে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিতে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় ওই বিবৃতিতে।