নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩ আগস্ট, ২০২২ ৩:৩৬ : অপরাহ্ণ
ভোলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন।
আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এই সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন।
এ নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২ নেতা নিহত হলো।
উল্লেখ্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৩১ জুলাই বেলা ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামে দলীয় নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম মারা যান।
মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল থেকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়।
সেখানকার ডাক্তাররা ব্যর্থ হয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় পাঠান।
৩ দিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।