রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা শিক্ষা

আমি ভীষণভাবে লজ্জিত ও বিব্রত: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ জুলাই, ২০২২ ১০:২৯ : পূর্বাহ্ণ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করায় লজ্জিত ও বিব্রত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

গত সোমবার রাজধানীর দক্ষিণখানে চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এস এম মোজাম্মেল হক শিক্ষা কমপ্লেক্সের মাঠে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।

ওই অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল সাজানো এবং ব্যানার-পোস্টার টানানোর কারণে ওইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসে। এ খবর জানার পর বুধবার তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

দীপু মনি বলেন, ‘আমি আসলে খুবই বিব্রত। এটা আমার অজান্তেই ঘটেছে। আমি গত পরশুদিন ঢাকার দক্ষিণখানে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গিয়েছি। আমি চলে আসার পর জেনেছি যে সেখানে আশপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেই মাঠ ব্যবহার করে। সেখানে সেই রাজনৈতিক সমাবেশটি হয়েছে। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম, আমাকে বলা হলো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চলেছে। যদিও বলা হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে, আসলে কতটা চলেছে সেটা আমি জানি না। ওখানে যখন প্যান্ডেল করা হয়েছে তখন শিক্ষা কার্যক্রম একেবারে নির্বিঘ্নে হয়েছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সে কারণে আমি সত্যিই ভীষণভাবে লজ্জিত ও দুঃখিত।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দু-একটি সংবাদমাধ্যমে খবরটি এসেছে। যেহেতু তিনি শিক্ষামন্ত্রী, তাই এ বিষয়ে বলতে চান। সবাই বলছেন, খেলার মাঠের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। খোলা মাঠ বলতে এখন শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠ। এর বাইরে খুব বেশি মাঠ নেই। এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় যে অনুষ্ঠানই করা হোক না কেন, দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিকল্প কোনো মাঠ না থাকার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ-প্রাঙ্গণ ব্যবহার করা হয়।’

দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের একটি মোটামুটি নির্দেশনা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সম্পর্কিত অনুষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করার। কিন্তু বাইরের কোনো অনুষ্ঠান নিরুৎসাহিত করি। কোনো এলাকায় হয়তো বিকল্পই নেই। কিছুই করার থাকে না। তখন বলা হয়, যেন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। আমি আসলেই খুবই বিব্রত। আমার অজান্তেই ঘটনাটি ঘটেছে।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর