নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ জুলাই, ২০২২ ১১:৫১ : পূর্বাহ্ণ
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় আরও ২৬ হাজার ২২৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় গণভবন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।
দেশের পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের পুনর্বাসনে আমরা শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ কেউ যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কেননা দেশের মানুষের জীবনকে অর্থবহ করতেই আমরা এই আশ্রয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
জায়গাগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প। লক্ষ্মীপুরে ৪৩৬টি, বাগেরহাটে ৫০০টি, ময়মনসিংহে ২৪টি, পঞ্চগড়ে ২ হাজার ৪৩৪টি ও মাগুরায় ৬৭৮টি ঘর জমিসহ হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সোমবার ড. আহমদ কায়কাউস জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ২০২১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়। আর গত বছরের ২০ জুন আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার ঘর পায়।